Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,ফরিদপুর জেলা কার্যালয় যশোর-খুলনা রোডে পূর্বগংগাবর্দী অবস্থিত। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মূলত জেলার বেকার যুবক ও যুবমহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিনত করাই ইহার প্রধান কাজ।

এই প্রশিক্ষণ আবার দুই ধরনের ক) প্রাতিষ্ঠানিক এবং খ) অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ

প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ :

ক) পোষাক তৈরী 

খ)ব্লক বাটিক ও স্ক্রীণ প্রিন্টিং

গ) মডার্ণ অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন

ঘ) কম্পিউটার বেসিক এন্ড আইসিটি এ্যাপ্লিকেশন

ঙ) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়্যারিং

চ) রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং

ছ) ইলেকট্রনিক্স

জ) মৎস্য চাষ

ঝ) গবাদী পশু,হাঁস-মুরগী পালন,কৃষি নার্সারী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা

অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ :

খ) অপ্রাতিষ্ঠানিকঃ
অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রেডে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রদান করা হয়। অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডের মেয়াদ ০৭ দিন থেকে ২১ দিন।

১. পারিবারিক হাঁস-মুরগী পালন।
২. ব্রয়লার ও ককরেল পালন।
৩. বাড়ন্ত মুরগী পালন।
৪. ছাগল পালন।
৫. গরু মোটাতাজাকরণ।
৬. পারিবারিক গাভী পালন।
৭. পশু-পাখির খাদ্য প্রস্ত্তত ও বাজারজাতকরণ।
৮. পশু-পাখির রোগ ও তার প্রতিরোধ।
৯. কবুতর পালন।
১০. কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ।
১১. মৎস্য চাষ।
১২. সমন্বিত মৎস্য চাষ।
১৩. মৌসুমী মৎস্য চাষ।
১৪. মৎস্য পোনা চাষ (ধানী পোনা)।
১৫. মৎস্য হ্যাচারি স্থাপন।
১৬. প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ।
১৭.গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষ।
১৮. শুটকী তৈরী ও সংরক্ষণ।
১৯. বসতবাড়িতে সবজি চাষ।
২০. নার্সারি।
২১. ফুল চাষ।

 

২২. ফলের চাষ।
২৩. কম্পোষ্ট সার তৈরী।
২৪. গাছের কলম তৈরী।
২৫. ঔষধি গাছের চাষাবাদ।
২৬. ব্লক প্রিন্টিং।
২৭. বাটিক প্রিন্টিং।
২৮. পোশাক তৈরী।
২৯. স্ক্রীন প্রিন্টিং।
৩০. মৃতশিল্পের কাজ।
৩১. মনিপুরী তাঁত শিল্প।
৩২. কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙ্গা তৈরী।
৩৩. বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরী।
৩৪. নকশি কাঁথা তৈরী।
৩৫. কারু মোম তৈরী।
৩৬. পাটজাত পণ্য তৈরী।
৩৭. চামড়াজাত পণ্য তৈরী।
৩৮. চাইনিজ ও কনফেকশনারি।
৩৯. রিক্সা, সাইকেল, ভ্যান মেরামত।
৪০. ওয়েল্ডিং  ও
৪১. ফটোগ্রাফি।

 

 

যুব ঋণ কর্মসূচি

:

ক) আত্মকর্মসংস্থান ঋণ কর্মসূচি (ব্যক্তি কেন্দ্রিক ঋণ) 
এ কর্মসূচির আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কোর্সে প্রশিক্ষ্যেত যুবদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প সৃজনের জন্য সকল উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ ও প্রকল্প ভেদে সর্বনিমণ ঋণপ্রত্যাশীকে ৩০,০০০/- টাকা হতে শুরু করে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০/- টাকা ঋণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে।

খ) পরিবারভিত্তিক ঋণ কর্মসূচিঃ 
এ কর্মসূচির আওতায় তৃনমূল পর্যায়ের হতদরিদ্র বেকার যুবদের পারিবারিক গ্রুপে সংগঠিত করে ২৫৮ উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে  সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে ঋণ প্রদান করা হয়। গ্রম্নপের সদস্য সংখ্যা ০৫ জন, এবং ৭ থেকে ১০টি গ্রুপ নিয়ে একটি কেন্দ্র ঘটিত হয়। গ্রুপের প্রত্যেক সদস্যকে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০,০০০/-  টাকা এবং পর্যায়ক্রমে ১৫০০০/- এবং ২০,০০০/-  টাকা পর্যমত্ম ঋণ প্রদান করার সুযোগ রয়েছে।

আত্মকর্মসংস্থান

:

প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প গ্রহনের  মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য প্রশিক্ষ্যেত যুবদের উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং প্রকল্প গ্রহণ ও পরিচালনার জন্য অধিদপ্তরের ঋণ সুবিধার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হতে পুঁজি প্রাপ্তিতে সহায়তা করা হয়। সাধারনভাবে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত যুবদের মাসিক আয় ৩০০০/- টাকা থেকে ৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত। তবে কোন কোন সফল আত্মকর্মী যুব মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করে থাকেন।

সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি

:

এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষনের পাশাপাশি এবং যুব সংগঠকদের মাধ্যমে বেকার যুবদের এইচআইভি/এইডস/এসটিডি  প্রতিরোধ, প্রজনন স্বাস্থ্য, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, সামাজিক রীতি-নীতি, মূল্যবোধ, জেন্ডার ও উন্নয়ন, যৌতুক, ইভটিজিং, সুশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ, সিভিক এডুকেশন, ক্ষমতায়ন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার কল্যাণ ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

যুব সংগঠন তালিকাভুক্তি

:

যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুব কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাদের কার্যক্রমকে অধিকতর অর্থবহ ও দায়িত্বশীল করার লক্ষ্যে অধিদপ্তরের পক্ষ্যে সেসব সংগঠনকে তালিকাভূক্তি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তালিকাভূক্তি গ্রহণেচ্ছু সংগঠন স্ব স্ব উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে উপপরিচালকের নিকট আবেদন করতে পারে।

যুব সংগঠন অনুদান

:

যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুব কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাদেরকে এ কাজে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে
ক) যুব কল্যাণ তহবিল (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সরাসরি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত) হতে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
খ) অনুন্নয়ন খাত (অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত) হতে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়া দপ্তর হতে সময় সময় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করে সংগঠন ভিত্তিক কার্যক্রমকে অনুপ্রেরণা প্রদান করা হয়।

জাতীয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান

:

ক) জাতীয় যুব পুরস্কারঃ   প্রতিবছর ১ নভেম্বর তারিখে জাতীয় যুবদিবস পালিত হয়ে থাকে। যে সকল প্রশিক্ষিত যুবক ও যুবমহিলা আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প স্থাপনে এবং যেসকল যুবসংগঠক সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখতে সক্ষম হয় তাদের মধ্য হতে বাছাই করে প্রতিবছর যুবদিবসে জাতীয় যুব পুরস্কার  প্রদান করা হয়ে থাকে।
 

 

:

 

বিভিন্ন দিবস উদ্‌যাপন

:

১ নভেম্বর জাতীয় যুবদিবস সহ অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদ্‌যাপন করা হয়।

সরকারী-বেসরকারী পার্টনারশিপ
(পি পি পি)

:

এ কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ,  সমাজ সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষিত যুবদের অধিকহারে পুঁজি সরবরাহের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।